রিয়াদ হাসান: [২] বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, সরকার হয়তো পুলিশ দিয়ে, বোমা দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ক্ষমতায় থাকবেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন, আগামী প্রজন্মের কাছে আপনারা কোন্ বাংলাদেশ রেখে যাচ্ছেন? আসুন সংঘাতের রাজনীতি পরিহার করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি ব্যাবহার নিশ্চিত করি। 

[৩] বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)। 

[৪] মঈন খান বলেন, স্বাধীনতার বিজয়ের প্রাক্কালে দেশের মানুষ ভেবেছিল বাংলাদেশ হবে একটি স্বাধীন দেশ। কিন্তু তার ঠিক আগ মুহূর্তে রাজাকার আলবদররা এক হয়ে দেশের মেধাস্বত্তকে হত্যা করে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মেধাবী বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করে ফেলা। এমন হত্যার ঘটনা যা বিশ্বে বিরল ঘটনা। আমরা তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে বাস করছি।

[৫] তিনি বলেন, অনেকেই বলেছেন, নতুনভাবে বাংলাদেশে কেনো স্যাংশন আসেনি। এজন্য বিএনপি নাকি হতাশ? তাহলে কি আরো স্যাংশন এলে আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিত? কোন্ স্যাংশনে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে?

[৬] বিএনপির এই নেতা বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করে ফেলেছে। ৭ জানুয়ারি শুধু ফলাফল ঘোষণা করবে। তফসিল নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমরা সত্যের পথে আছি। জনগণের সঙ্গে আছি। আমাদের বিজয় হবেই ইনশাআল্লাহ।

[৭] ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, আসুন আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সম্পৃক্ত হই। এবার ফ্যাসিবাদ পরাজিত হবে দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।

[৮] অধ্যাপক ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিরোধী দলের অসংখ্য নেতাকর্মী আজকে নির্যাতন-নিপীড়ন উপেক্ষা করে রাজপথে আন্দোলন করছে। এটাকে বিজয় পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে। যেমনটা আমরা করেছিলাম ১৯৭১ সালে।

 [৯] সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও কথা বলার স্বাধীনতা নেই। আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশে ৩৯ জন সাংবাদিককে হত্যা করেছে। এটা কি বুদ্ধিজীবী হত্যা নয়? 

[১০] বিএসপিপির সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, কবি আবদুল হাই শিকদার, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না